,

বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ বেকসুর খালাস

সময় ডেস্ক :: বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বেকসুর খালাস দিয়েছে সে দেশের আদালত। মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ের জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক এই রায় দেন গতকাল। বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংসের কর্মকর্তা শায়রুল কবীর খান সাংবাদিকদেরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ভারতের অনুপ্রবেশের অভিযোগে ২০১৫ সালে মার্চ মাসে এই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মেঘালয় পুলিশ সিটি থানায় একটি মামলা করে। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলে শারীরিক অসুস্থতার কারণে বিচারক তাকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেন। এই মুহূর্তে শিলং শহরেই বসবাস করছেন তিনি। ২০১৫ সালের ১০ই মার্চ রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর পরিচয়ে তাকে তুলে নেয়া হয়। যদিও আটকের বিষয়টি আইন শৃঙ্খলাবাহিনী অস্বীকার করে। অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক হওয়ার আগে প্রায় দুইমাস আগে থেকে বাংলাদেশে ‘নিখোঁজ’ ছিলেন সালাউদ্দিন আহমেদ। ২০১৫ সালের ১২ই মে ভারতের শিলং শহরের ক্যান্টনমেন্ট এলাকার গলফ মাঠ থেকে পুলিশ সালাউদ্দিনকে উদ্ধার করে। অসংলগ্ন কথাবার্তা শুনে শিলং পুলিশ প্রথমে তাকে একটি মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করায়। তবে চিকিৎসকরা জানান তিনি মানসিক নয়, শারীরিকভাবে অসুস্থ। তাই তাকে শিলং সিভিল সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তার পরিবারের সদস্যদের আবেদনের প্রেক্ষিতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নর্থ ইস্টার্ন ইন্দিরা গান্ধী রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ অ্যান্ড মেডিকেল সায়েন্সেস হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অসুস্থতার মধ্যেই ২০১৫ সালের ২৭ মে মামলার শুনানিতে শিলংয়ের জেলা ও দায়রা আদালতে হাজির হন সালাউদ্দিন আহমেদ। এরপর প্রায় তিন বছর ধরে চলে বিচারপর্ব। উল্লেখ্য, সালাহউদ্দিন আহমেদ নিখোঁজ হওয়ার সময় দলের যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। পরে দলের ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটিতে পদোন্নতি পান। সবশেষ চারদলীয় জোট ক্ষমতায় থাকাকালে তিনি সরকারের যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।


     এই বিভাগের আরো খবর